NATIONAL GARMENT WORKERS FEDERATION (NGWF)

শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্বারকলিপি পেশ

বে-আইনীভাবে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্বারকলিপি পেশ
বে-আইনীভাবে বন্ধ ঘোষিত আনজির এ্যাপারেলস লিঃ (ইউনিট-২ ও ৩) খুলে দেয়া এবং ৩ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবীতে আজ রবিবার (২৩ জুন ২০২৪) সকাল ১১ টায় শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্বারকলিপি পেশ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জনাব আমিরুল হক্ আমিন। বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা সুরাইয়া জেসমিন রুমা, মনিরা মুন্নি ক্যামেলিয়া হাসান শশি, মোঃ রিয়াদ হোসেন, লোকমান আলী, সাহিল হোসেন শিহাব ও আনজির এ্যাপারেলস লিঃ-এর ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক।

সংহতি বক্তব্য রাখেন ঃ একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সহ-সভাপতি সিমা আক্তার।
বক্তারা বলেন, আশুলিয়ার দেওয়ান ইদ্রিস রোড, জিরাবো-এ অবস্থিত আনজির এ্যাপারেলস লিঃ (ইউনিট-২ ও ৩) কারখানা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন তোয়াক্কা না করে ৩ (এপ্রিল, মে, জুন) মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে নাম মাত্র ঈদ বোনাস প্রদান করে গত ১২.০৬.২০২৪ ইং তারিখে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে। ঈদের ছুটি শেষে শ্রমিকেরা ২২ জুন, ২০২৪ ইং তারিখে কারখানায় কাজে যোগদান করতে গিয়ে দেখতে পায় কারখানার গেটে নোটিশের মাধ্যমে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশের শ্রম আইনকে তোয়াক্কা না করে কারখানা বন্ধ করে দেয় যা শ্রম আইন পরিপন্থি ও বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী অসৎ শ্রম আচরনের সামিল।
এমতাবস্থায় উক্ত কারখানায় কর্মরত প্রায় ৫০০ জন শ্রমিক বেতন-ভাতা না পাওয়ায় চরম দূর্ভোগের মুখামুখি। শ্রমিকেরা ঘরভাড়া দিতে পারছে না, দোকানদারের বাকী টাকাও দিতে পারছে না বলে দোকানদাররা প্রতিনিয়ত তাদেরকে নাজেহাল করছে। তাদের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

উক্ত কারখানার বিদ্যমান সমস্যা সমূহ ও দাবী ঃ

১. বন্ধ কারখানা খুলে দিতে হবে।
২. ৩ (এপ্রিল, মে, জুন) মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ পরিশোধ করতে হবে।
৩. হাজিরা বোনাস দেয়া হয় না।
৪. মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা দেয়া হয় না।
৫. বাৎসরিক ছুটির টাকা দেয়া হয় না।
৬. আইন অনুযায়ী ছুটি ভোগ করার সুযোগ দেয়া হয় না।
৭. কোন শ্রমিক ছাঁটাই করলে শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধ করা হয় না।
৮. শ্রমিকদের বহিরাগত মাস্তান দিয়ে ভয়ভিতি দেখানো হয়।
বক্তারা অবিলম্বে, বে-আইনীভাবে বন্ধ আনজির এ্যাপারেলস লিঃ (ইউনিট-২ ও ৩) খুলে দেয়া এবং ৩ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জোর দাবী জানান।

পোস্ট সম্পাদন ও ছবি: রিয়াদ হোসেন, ঢাকা, বাংলাদেশ.