NATIONAL GARMENT WORKERS FEDERATION (NGWF)

অর্থমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ

প্রস্তাবিত বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের রেশন বরাদ্দ না রাখায় ৫টি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আজ বুধবার (১২ জুন ২০২৪) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অর্থমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জনাব আমিরুল হক্ আমিন। 
এতে বক্তব্য রাখেন ৫টি গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবুন্দ রফিকুল ইসলাম রফিক, মোঃ মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সিমা আক্তার, মোঃ কবির হোসেন, জেসমিন আক্তার, সুরাইয়া জেসমিন রুমা, মোঃ রিয়াদ হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দেশের ৪২ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক দেশের ৮৪% রপ্তানী পণ্য উৎপাদন করেন। গার্মেন্টস শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামে দেশ চলে কিন্তু তাদের খুব কম মজুরী দেওয়া হয়।

অন্যদিকে দ্রব্যমুল্যের আকাশচুম্বী গতি, মূল্যস্ফীতি, গ্যাস-বিদুৎ-পানির মূল্য বুদ্ধি, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি, যাতায়াত ভাড়া, চিকিৎসা খরচ বৃদ্ধি সব কিছু মিলিয়ে দেশের ৪২ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক আজ দিশেহারা। অনেক গার্মেন্টস আজ শ্রমিক অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন যাপন করছেন।

গত ৫ বছর যাবৎ গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং এর আলোচনা চলছে।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং পদ্ধতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ চালুর আলোচনা গত পাঁচ বছর ধরে চলছে। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী, বর্তমান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রীসহ অনেক সাংসদ ও মন্ত্রী বার বার গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালুর ব্যাপারে কথা বলেছেন এবং আশ^স্ত করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত গার্মেন্টস শ্রমিকরা রেশন থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন।

দুর্ভাগ্যজনক বিষয় এই যে, গত ৬ জুন সংসদে উত্থাপিত আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটেও অর্থমন্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনের কোন বরাদ্দ রাখেন নাই, যা দেশের সকল গার্মেন্টস শ্রমিককে ক্ষুব্ধ করেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক্ আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন কেন প্রস্তাবিত ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের ৪২ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য রেশন বরাদ্দ রাখা হলো না।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঘোষণা দেওয়া হয় যদি অবিলম্বে প্রস্তাবিত বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশন বরাদ্দ না রাখা হয়, তাহলে ঈদের পর গার্মেন্টস শ্রমিকেরা সারাদেশ অচল করে দেবে।

পোস্ট সম্পাদন ও ছবি: রিয়াদ হোসেন, ঢাকা, বাংলাদেশ.