৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জাতীয় গার্মেন্টসশ্রমিক ফেডারেশন
গার্মেস্টস শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে তামাশা বন্ধ করার দাবী
গার্মেস্টস শ্রমিকদের মজুরী নিয়ে তামাশা বন্ধ করার দাবী এবং রানা প্লাজা-তাজরিনের মত মর্মান্তিক ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি রোধে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম সংগঠন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন তার ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করলো রানা প্লাজার শহীদদের স্মরন বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পন এবং শপথ গ্রহনের মধ্য দিয়ে। আজ ২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, সকাল ১১টায় সাভারের রানা প্লাজা প্রাঙ্গনে এ কমর্সূচী পালন করা হয়।এ সময় ফেডারেশনের শতাধিক নেতা কর্মী বাংলাদেশী পতাকা হাতে অংশ নেয়। শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে রানা প্লাজার পিতা মাতা হারা ১০জন এতিম শিশুও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফেডারেশনের সভাপতি জনাব আমিরুল হক্ আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেনঃ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মিসেস আরিফা আক্তার, মোঃ কবির হোসেন, মিস সাফিয়া পারভীন, মোঃ ফারুক খান, মিসেস নাছিমা আক্তার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসরাত জাহান ইলা, মোঃ ফরিদুল ইসলাম ও মিসেস সুইটি আক্তার।
সংহতি বক্তব্য রাখেনঃ আই.বি.সির মহাসচিব জনাব সালাউদ্দিন স্বপন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক জনাব কামরুল হাসান।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব আমিন বলেন “ রানা প্লাজা-তাজরীনের মত ভয়াবহ ঘটনা যাতে বাংলাদেশে আর না ঘটে, তার জন্য সরকার, মালিক, বায়ার, বিজিএমইএ এবং শ্রমিক সংগঠন সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। নিরাপদ কর্মস্থলের জন্য গঠিত আর.সি.সি কে সক্ষমতা অর্জনের জন্য দ্রুত গতিতে সামনে এগিয়ে নিতে হবে এবং সকল রকম সহযোগীতা করতে হবে। কিন্ত আর.সি.সি এর পূর্ণ সক্ষমতা অর্জনের আগে চলমান একর্ড, এ্যালাইন্স এবং এন.এ.পি এর কাজকে অব্যাহত রাখতে হবে—নতুবা ভ্যাকুয়াম (শূন্যতা) তৈরী হতে পারে, যা হবে বিপদজনক।”
জনাব আমিন গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড গঠনসহ মজুরী বোর্ডে দাখিলকৃত প্রস্তাবনার কঠোর সমালোচনা করে এটাকে “ তামাশা ” বলে উল্লেখ করে বলেন, “মজুরি বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি সেই সেক্টরের শ্রমিক সংগঠন এবং সবচেয়ে বেশী সংখ্যক শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন থেকে হবার কথা। কিন্তু মজুরি বোর্ডে যাকে প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তিনি গার্মেন্টস সেক্টরের কোন সংগঠনের সাথেই যুক্ত নন। ৬ মাসের মধ্যে মজুরি নির্ধারন এবং ঘোষনার নিয়ম থাকলেও ৬ মাসে মজুরি নির্ধারন এবং ঘোষনাতো দুরের কথা– বৈঠক হয়েছে মাত্র ৩টি। ৫ বছর আগের ৭তম গ্রেডের ৫,৩০০/- টাকার সাথে ৫% বৃদ্ধিসহ যেখানে ৭তম গ্রেডে বর্তমানে মজুরি হয় ৬,৪০০/- টাকার বেশী, সেখানে মালিক পক্ষ প্রস্তাব দিয়েছেন ৬,৩৬০/- টাকা–যা মজুরি কমানোর সামিল। অন্যদিকে সকল শ্রমিক সংগঠন যেখানে নি¤œতম মজুরি দাবী করেছে ১৬,০০০/- টাকা, সেখানে শ্রমিক প্রতিনিধি প্রস্তাব দাখিল করেছেন ১২,০২০/- টাকা—যা সম্পুর্ন অযৌক্তিক এবং অনৈতিক। দেশের সবচেয়ে বড়, অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি এবং সবচেয়ে লাভজনক এই সেক্টরের শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে এধরনের তামাশা বন্ধ করে যৌক্তিক মজুরি নির্ধারন করা অত্যন্ত জরুরী।
আমিরুল হক্ আমিন,
সভাপতি, মোবাইলঃ ০১৭৩১-২০১৩০২