১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবসে ‘৭১ এর বীর মুক্তিযো দ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘হাজারো গার্মেন্টস শ্রমিকের বাংলাদেশী পতাকা র্যালী’ অনুষ্ঠিত
নিরাপদ কর্মস্থল, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, নারী পুরুষের সমতা ও জীবন যাপন উপযোগী মজুরী নিশ্চিতের স্লোগানকে সামনে নিয়ে ‘৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলো দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের সৈনিক গার্মেন্টস শ্রমিকরা। আজ ১ ডিসেম্বর– মুক্তিযোদ্ধা দিবসে– “হাজারো গার্মেন্টস শ্রমিকের বাংলাদেশী পতাকা র্যালী” এর মাধ্যমে তারা এই সম্মান জানায়।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্দ্যেগে আজ ১ ডিসেম্বর ২০১৭ সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এই র্যালী শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিনের পর তোপখানা রোডস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাপ্ত হয়। কর্মসূচিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উর্দ্ধে তুলে ধরে একসহশ্রাধিক গার্মেন্টস শ্রমিক অংশ গ্রহন করে।
ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক্ আমিন র্যালী-পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মিসেস আরিফা আক্তার ও কেন্দীয় নেতৃবৃন্দ জনাব ফারুক খান, মিসেস শাফিয়া পারভিন, কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক, ফরিদুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট হায়দার আলী, মোঃ জাকারিয়া প্রমুখ।
বক্তারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীন-সার্বভৈাম বাংলাদেশের জন্ম দেয়ার জন্য শহীদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা গ্যাপন করেন। একই সাথে তারা বলেন ৪২ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক, যার ৮৫ শতাংশ নারী, দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামের যোদ্ধা। এরা জাতীয় রপ্তানী আয়ের শতকরা ৮৩ ভাগ অর্জন করেন।
বক্তারা সকল গার্মেন্টস শ্রমিকের জন্য ; ১. নিরাপদ কর্মস্থল ২. অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ৩. নারী পুরুষের সমতা ৪. জীবন যাপন উপযোগী মজুরী ৫. সল্প মূল্যে ‘পূর্ণরেশনিং ব্যবস্থা’ প্রচলন ৬. সরকারী খাস জমিতে বাসগৃহ নির্মান ৭. কারখানায় শিশু লালন কক্ষ স্থাপন ৮.নিরাপদ মাতৃত্বকেন্দ্র ৯. যানবাহনের ব্যবস্থা করার জন্য মালিক, বায়ার, সরকার এবং সকলের প্রতি জোর দাবী জানান।
র্যালীতে ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এর ছবি প্রদর্শন করে অভিনন্দন জানানো হয়।
ধন্যবাদসহ-
সভাপতি
আমিরুল হক্ আমিন